• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

পাকুন্দিয়ায় মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু চাষীদের মাথায় হাত

  • ''
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার অর্থ করি লিচু উৎপাদনকারী গ্রামের নাম মঙ্গলবাড়িয়া। দেশ এবং বিদেশে এই মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচুর বেশখ্যাতি রয়েছে। জানা যায় প্রায় দুইশত বছর পূর্বে সুদুর চীন দেশ থেকে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সর্বপ্রথম এ জাতের লিচুর চারা নিয়ে এসেছিলেন এই গ্রামের । পরবর্তীতে এ লিচুর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার পর কলম পদ্ধতিতে সংগৃহীত চারা উক্ত গ্রামের ছড়িয়ে পড়ে এবং শুরু হয় লিচুর আবাদ।

এবার চলমান তাপ প্রবাহ ও দীর্ঘমেয়াদী করার কারণে এলাকার বেশিরভাগ লিচু বাগানের লিচুরগুটি রোদে পুড়ে শুকিয়ে কালো রং ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের অতি তাপ প্রবাহ অনাবৃষ্টির কারণে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে, যার ফলে এখন লিচু শূন্য হয়ে পড়েছে বাগান গুলো অথচ কিছুদিন আগেও লিচুর গুটিতে ভরপুর ছিল এলাকার লিচু বাগান গুলো। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষীরা কৃত্রিম মেশিন দিয়ে লিচু গাছে পানি দিচ্ছেন। মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের এক লিচু চাষী রাজিবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের নিজস্ব দুইশত লিচু গাছ আছে, এছাড়াও আমি শতাধিক লিচু গাছ কিনে রেখেছিলাম, লিচু গাছগুলোতে মৌসুমের শুরুতে মকুলে ভরপুর ছিল কিন্তূ এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গত কয়েকদিনের অতি গরমে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে, যার ফলে এখন লিচু শূন্য হয়ে পড়েছে লিচু বাগানের গাছ গুলো।এর ফলে এখন আমাদের মাথায় হাত পড়েছে। তিনি বলেন প্রতিবছর এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ কুটি টাকা লিচু বিক্রি হলেও এবার লিচু চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর ই আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লিচু গাছ রয়েছে। এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ দশ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হতো তবে এবার প্রাকৃতিক প্রচন্ড গরমের কারণে অন্যান্য ফসলাদীর ন্যায় লিচু চাষিরা অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এলাকায় লিচু চাষীদের নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে লিচু চাষের করণীয় বিষয় নিয়ে প্রচার পত্র বিতরণ করেছি। এ চাড়াও ৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে লিচু বাগানের খোঁজখবর নেওয়া এবং লিচু চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার লিচু চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, প্রচন্ড দাবদাহ এবং উপযুক্ত সেচ সুবিধার অভাবে এবার মঙ্গল বাড়িয়া জাতের লিচুর ফলনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেচ সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে চাষিদের কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads